
পাকিস্তানকে নাম না করে আবারও সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিন দলের বুথ স্তরের কর্মীদের একটি অনুষ্ঠানে মোদী বলেছেন, ‘‘জঙ্গি হামলা
করে শত্রুপক্ষ দেশকে অস্থির করে তুলতে চাইছে। এসব করে দেশের অগ্রগতি থমকে
দিতে চায়। শত্রুদের এহেন উদ্দেশ্য রুখতে আমরা একজোট হয়ে প্রাচীর তুলব।
আমাদের একজোট হয়ে দেখাতে হবে, যে কোনও কিছুতেই দেশের অগ্রগতি কখনও থেমে
থাকতে পারে না।’’ এরপরই নমো বলেছেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে দোশ একজোট হয়ে
মোকাবিলা করবে, একজোট হয়ে লড়ব, একজোট হয়ে জিতব।’’
ভারতীয় সেনার ভূয়সী
প্রশংসা করে মোদী বলেছেন, ‘‘গোটা দেশ ভারতীয় সেনার পাশে রয়েছে। বাহিনীর
প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, এমন যেন কিছু না হয়,
যাতে আমাদের বাহিনীর মনোবল ভেঙে যায়, আর শত্রুরা আমাদের দিকে আঙুল তোলার
সুযোগ পায়।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘‘আমরা মজবুত ভারতের নাগরিক। তাই
দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের দিনরাত এক করে কাজ করতে হবে।’’ নরেন্দ্র
মোদী বলেছেন, ‘‘দেশ এক নতুন আত্মবিশ্বাস পেয়েছে…সকলেই এখন জানেন যে, সব
অসম্ভবই সম্ভব।’’
অন্যদিকে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মোদী যেভাবে
নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন, তার সমালোচনা করতে আসরে নেমেছে কংগ্রেস।
টুইটারে কংগ্রেস জানিয়েছে, ‘‘এটা খুবই লজ্জাজনক। গোটা দেশ উইং কমান্ডার
অভিনন্দনের ফেরার জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু কয়েক মিনিটের জন্যও ভোটপ্রচার
বন্ধ রাখছেন না প্রধানমন্ত্রী। আমরা সেনা জওয়ানদের পাশে আছি। মোদী সরকারকে
প্রশ্ন করতে চাই, তাদের এহেন আচরণের জন্য।’’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের পর বুধবার ভারতের আকাশসীমা
লঙ্ঘন করে পাক যুদ্ধবিমান। পাক হামলা রুখতে আকাশপথে উড়ে যায় ভারতীয়
বায়ুসেনার দুই মিগ-২১ যুদ্ধবিমান। একটি মিগ-২১ বিমান সে দেশে নামানো হয়েছে
বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে
হেফাজতে নেওয়ার দাবিও তুলেছে পাকিস্তান। অবিলম্বে অভিনন্দনকে ছাড়ার দাবি
জানিয়েছে ভারত সরকার।