
ঘটনাস্থল ফের পুলওয়ামা জেলা। এবার জঙ্গিদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে নিহত হলেন
এক মেজর-সহ চার সেনা জওয়ান। সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন এক
স্থানীয় বাসিন্দাও। সোমবার সকালে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার পিংলানা
এলাকায় তল্লাশি চালানোর সময় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে দুই
জঙ্গিও। এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে, এ খবর পাওয়ার পরই তল্লাশি অভিযান
শুরু করে সেনা।
#JammuAndKashmir : Two terrorists have been killed during encounter between terrorists and security forces, in Pinglan area of Pulwama district. Operation still in progress.— ANI (@ANI) February 18, 2019
পুলওয়ামায় গুলির লড়াইয়ে নিহত মাস্টারমাইন্ড? এ খবর ঘিরে ছড়িয়েছে জল্পনা।
জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন ডিজিপি টুইট করে জানিয়েছেন, এদিন এনকাউন্টারে
নিহত হয়েছে পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর গত সপ্তাহের হামলার প্রধান কান্ডারী। যদিও সরকারি সূত্রে এখনও এ প্রসঙ্গে কিছু জানানো হয়নি।
এদিন পিংলানা গ্রামে দু-তিনজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর পায়
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। খবর পাওয়ার পরই রবিবার রাত থেকে পিংলানা গ্রাম ঘিরে
ফেলে পুলিশ, সেনা ও আধা সামরিক বাহিনী। এলাকায় তল্লাশি চালানোর সময়ই
নিরাপত্তা রক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা।
Visuals: The 4 Army personnel including a Major, who were killed in action during encounter between terrorists and security forces, in Pinglan area of Pulwama district, belonged to 55 Rashtriya Rifles. #JammuAndKashmir (Visuals deferred by unspecified time) pic.twitter.com/Wa2sxz3bzT— ANI (@ANI) February 18, 2019
এ ঘটনা প্রসঙ্গে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, “আধঘণ্টা ধরে গুলির লড়াই
চলছিল, তারপর থেমে যায়। এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।” এদিন সকাল
৮.৪৫ নাগাদ নতুন করে ফের গুলির লড়াই শুরু হয়। সেসময় গুলিতে নিহত হন এক
স্থানীয় বাসিন্দা। স্থানীয়দের সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় ব্যাপক গুলিবর্ষণ
চলছিল।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি
হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। যে ঘটনায় শোকে বিহ্বল
গোটা দেশ। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে কাশ্মীরে এতবড় জঙ্গি হামলা আগে ঘটেনি।
সেদিনের হামলার দায় স্বীকার করেছে জইশ-এ-মহম্মদ। আদিল আহমেদ দার নামে এক
জইশ জঙ্গি এই আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ওই সন্ত্রাসবাদী
সংগঠন।
নিরাপত্তার বেড়াজাল পেরিয়ে কীভাবে সিআরপিএফের গাড়িতে হামলা
চালানো হলো, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পুলওয়ামার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই
এদিন রাজৌরিতে ফের বিস্ফোরণের ঘটনায় কাশ্মীরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বড়সড়
প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড়িয়ে।
এদিকে, কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে
নাম না করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেছেন, “হামলা চালিয়ে
বড় ভুল করেছে ওরা। এজন্য বিরাট মূল্য দিতে হবে। দোষীরা কেউ ছাড় পাবে না।
মোক্ষম জবাব দিতে সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি।” সন্ত্রাস দমনে
সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। সন্ত্রাস দমনে একজোট হয়ে
লড়ার অঙ্গীকার নেওয়া হয়েছে আজকের সর্বদলীয় বৈঠকে।
গত শনিবার রাজৌরির নৌসেরা সেক্টরে আইইডি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক সেনা অফিসারের। এ ঘটনায় জখম হন আরও এক সেনা জওয়ান।