
বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ বা ‘মোস্ট ফেভারড নেশন’ হিসেবে পাকিস্তানের নাম
প্রত্যাহার করে নিয়েছিল ভারত। তার পর বাড়িয়ে ২০০ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছিল
আমদানি শুল্কের পরিমাণ। এবার পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে
পাকিস্তানে সিন্ধু নদের জলবণ্টন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
এ কথা জানিয়ে টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি। তিনি
লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির নেতৃত্বে আমরা স্থির করেছি,
সিন্ধু নদ দিয়ে যে জল পাকিস্তানে বয়ে যেত তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমরা
পূর্বের নদীগুলির মুখও ঘুরিয়ে দেব এবং সে জল জম্মু কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবে
আমাদের জনগণের কাছে সরবরাহ করব।”
তিনি জানিয়েছেন, রাবি বা ইরাবতী নদীর ওপর শাহপুর-কান্দীতে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
সিন্ধু জলচুক্তি অনুসারে ইরাবতী, বিপাশা এবং শতদ্রু নদীর জলের উপর
ভারতের পূর্ণ অধিকার রয়েছে। এর বিনিময়ে, সিন্ধু, চন্দ্রভাগা এবং বিতস্তার
মত পশ্চিমপ্রবাহিণী নদীগুলির জল পাকিস্তানে বাধাহীন ভাবে বয়ে যেতে দিতে
হবে। এই জল নিজেদের জন্য ব্যবহারও করা যেতে পারে, যথা সেচ বা জলবিদ্যুৎ
প্রকল্পের জন্য, তবে তা হতে পারবে কেবলমাত্র চুক্তিতে উল্লিখিত শর্তাবলী
মেনে।
পাকিস্তানের পক্ষে জল একটি অত্যন্ত জরুরি ইস্যু। দুই দেশের
আলোচনার সময়ে ভারত যে জলভাগের ব্যাপারে অন্যায় করছে, ইসলামাবাদ বারবার সে
কথা উল্লেখ করেছে। ভারত বরাবরই বলে এসেছে, যে তারা ১৯৬০ সালে
স্বাক্ষরিত চুক্তির সম্মান রক্ষা করে আসছে, কিন্তু ইসলামাবাদ এ ব্যাপারে
সম্পূর্ণ বিপরীত মত পোষণ করেছে।
এর আগে ২০১৬ সালের উরি জঙ্গি হামলার পর, সিন্ধু জল কমিশনের বৈঠক বাতিল করে দেয় ভারত। বছরে দুবার এই বৈঠক বসার কথা।