
মিজোরামের পর ত্রিপুরা। তিনদিনের ব্যবধানে ফের ভারত-বিরোধী স্লোগান নাগরিকত্ব বিল বিরোধী একটি মিছিলে। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। পরিকল্পিতভাবে সংশ্লিষ্ট মিছিলে কিছু লোক ঢুকিয়ে এই দেশবিরোধী স্লোগান তোলা হয়েছে বলে বিজেপি প্রতিবাদে সরব হয়েছে।
মিডিয়াকে এ প্রসঙ্গে বিজেপি-র মুখপাত্র অশোক সিনহা
জানিয়েছেন, তাঁরা ওই মিছিলটিতে তিরিশ-চল্লিশ জনের একটি দলের কথা জানতে
পেরেছেন। কারা ওই দলে ছিলেন এবং কাদের প্ররোচনায় তাঁরা মিছিলে অংশ
নিয়েছিলেন, সে বিষয়ে মন্তব্য করেননি অশোক।
অশোক অবশ্য এর পাশাপাশি দাবি
করেছেন, গত ৩০ জানুয়ারি খুমলং-এ ‘ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়াজ টেরিটোরিয়াল
অটোনমাস কাউন্সিল’-এর সদর দফতরের কাছ থেকে মিছিলটি শুরু হওয়ার কিছু আগে
সিপিএম-এর কিছু সদস্য মুখে মুখে প্রচার চালিয়েছিলেন। মিছিলটিতে কিছু
প্রতিবাদকারীর ভারত-বিরোধী স্লোগান দেওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল
হয়ে যাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। গত সপ্তাহে মিজোরামেও একটি
মিছিলে এই জাতীয় স্লোগান উঠেছিল।

প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছিল ত্রিপুরা ইন্ডিজিনাস পিপলস কাউন্সিল, যা
৪৮টি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের একটি যৌথ মঞ্চ। মিছিলে শরিক হয়েছিল
Indigenous Nationalist Party of Tripura, Nationalist Conference of
Tripura, IPFT Tripura (মূল IPFT থেকে বেরিয়ে আসা বিক্ষুব্ধ অংশ)। ত্রিপুরা
রাজবংশের প্রতিনিধি প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মা, যাঁকে প্রতিবাদী আদিবাসী
সংগঠনগুলি সর্বসম্মত ভাবে নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছে, জনতার কাছে আবেদন জানান
নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদ করতে।
ভারত-বিরোধী স্লোগানগুলি নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পর অবশ্য প্রদ্যোত বিষয়টির নিন্দা করে রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, “বিজেপি-র বিরোধিতা করুন, দেশের নয়।”
বিজেপি-র মুখপাত্র অশোক সিনহা আজ বলেছেন, “মিছিল শুরু হওয়ার আগে সিপিএম মুখে মুখে ‘হুইস্পার ক্যাম্পেইন’ চালিয়েছিল। এটাই সিপিএম-এর রাজনীতির ধরণ। তিরিশ-চল্লিশ জন সমর্থক মিলে মুখে মুখে প্রচার চালিয়ে আদিবাসীদের সঙ্গে অন্যান্য জনগোষ্ঠীর বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করেছিল।”
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি বিপ্লবকুমার দেবও শুক্রবার এ বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন। কঠোর সতর্কবাতায় তিনি বক্রোক্তি করেছিলেন ত্রিপুরার রাজবংশজাত প্রদ্যোত কিশোরের নেতৃত্বে সংগঠিত নাগরিকত্ব বিল বিরোধী মিছিলের প্রতি। বলেছিলেন, নোংরা রাজনীতি হচ্ছে এ নিয়ে।
বিজেপি-র মুখপাত্র অবশ্য আজ কিছুটা নমনীয় ভঙ্গিতে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, দলের অন্দরের রিপোর্ট বলছে, স্লোগানগুলির নেপথ্যে রয়েছে ‘কিছু স্বার্থান্বেষী অংশ’। তবে কারা তারা, সে বিষয়ে অশোক নীরবই থেকেছেন।
ভারত-বিরোধী স্লোগানগুলি নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পর অবশ্য প্রদ্যোত বিষয়টির নিন্দা করে রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, “বিজেপি-র বিরোধিতা করুন, দেশের নয়।”
বিজেপি-র মুখপাত্র অশোক সিনহা আজ বলেছেন, “মিছিল শুরু হওয়ার আগে সিপিএম মুখে মুখে ‘হুইস্পার ক্যাম্পেইন’ চালিয়েছিল। এটাই সিপিএম-এর রাজনীতির ধরণ। তিরিশ-চল্লিশ জন সমর্থক মিলে মুখে মুখে প্রচার চালিয়ে আদিবাসীদের সঙ্গে অন্যান্য জনগোষ্ঠীর বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করেছিল।”
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি বিপ্লবকুমার দেবও শুক্রবার এ বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন। কঠোর সতর্কবাতায় তিনি বক্রোক্তি করেছিলেন ত্রিপুরার রাজবংশজাত প্রদ্যোত কিশোরের নেতৃত্বে সংগঠিত নাগরিকত্ব বিল বিরোধী মিছিলের প্রতি। বলেছিলেন, নোংরা রাজনীতি হচ্ছে এ নিয়ে।
বিজেপি-র মুখপাত্র অবশ্য আজ কিছুটা নমনীয় ভঙ্গিতে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, দলের অন্দরের রিপোর্ট বলছে, স্লোগানগুলির নেপথ্যে রয়েছে ‘কিছু স্বার্থান্বেষী অংশ’। তবে কারা তারা, সে বিষয়ে অশোক নীরবই থেকেছেন।