About Me

header ads

BENGALI: CENTRAL AGENCIES GET SNOOPING POWERS IN INDIA!



দেশের যে কোনও প্রান্তে, যে কোনও সময়, যে কোনও কম্পিউটারে নজরদারি চালাতে পারবে ১০ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যে ১০টি তদন্তকারী সংস্থাকে এই নজরদারি চালানোর ক্ষমতা দেওয়া হল, তার মধ্যে আছে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) এবং রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)। বৃহস্পতিবারই এই নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
আইবি এবং র ছাড়া আর যে কটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এই ক্ষমতা দেওয়া হল, তার মধ্যে আছে নারকোটিকস কন্ট্রোল বোর্ড, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস, ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স, সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই), ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ), দিল্লি কমিশনার অব পুলিশ এবং ডিরেক্টরেট অব সিগনাল ইন্টেলিজেন্স।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব গওবা। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে যে কোনও কম্পিউটারে নজরদারি চালানোর ক্ষমতা পেল এই দশ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই নির্দেশিকা জারি হওয়ার আগে পর্যন্ত মোবাইল কল বা ইমেল-এর মাধ্যমে যে ডেটা বা তথ্য এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেত, তার ওপর নজরদারি চালানোর ক্ষমতা ছিল তদন্তকারী সংস্থাগুলির। কিন্তু এখন থেকে মোবাইল কল বা ই-মেলের পাশাপাশি বিভিন্ন কম্পিউটারের তথ্য খতিয়ে দেখার ক্ষমতা পেল এই সব তদন্তকারী সংস্থা । প্রয়োজনে বাজেয়াপ্ত করা যাবে যে কোনও কম্পিউটার বা যন্ত্র। শুধু তাই নয়, যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা এখন থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তাঁর বা তাদের কম্পিউটারের তথ্য দেখাতে বাধ্য। অন্যথায় জরিমানা অথবা সাত বছরের কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘ভারতের সার্বভৌমত্ব, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা এবং বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত’।
তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৯ (১) ধারার মাধ্যমেই ১০ তদন্তকারী সংস্থাকে যে কোনও কম্পিউটারে নজরদারি চালানোর বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ২০০০ সালে তৈরি হওয়া এই আইনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার এই নির্দেশিকা দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কম্পিউটার এবং তথ্য সুরক্ষা বিভাগ।
২০০৯ সালে ইউপিএ আমলেই তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি অংশ যোগ করে কেন্দ্র। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়, ‘কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কারও তথ্যের ওপর নজরদারি চালাতে পারবে না কোনও তদন্তকারী সংস্থা। কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও নির্দিষ্ট তদন্তকারী সংস্থাকে অনুমতি দেওয়া হলে তবেই তারা কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার ওপর নজরদারি চালাতে পারবে।’ কর্তৃপক্ষ বলতে এখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং রাজ্য সরকারকে বোঝানো হয়েছে।
তদন্তের স্বার্থে নজরদারি চালানোর আইনি সংস্থান থাকলেও কোন তদন্তকারী সংস্থা নজরদারি চালাবে, তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে কিছু বলা ছিল না ২০০৯ সালে যুক্ত করা আইনি ধারায়। যে কারণে থেকে যাচ্ছিল ক্ষমতার অপব্যবহারের আশঙ্কা। তা দূর করতেই দশটি তদন্তকারী সংস্থাকে নির্দিষ্ট করে দেওয়ার কাজ করেছে বর্তমান এনডিএ সরকার। আসলে ২০০৯ সালের আইনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই পুরো বিষয়টি করা হয়েছে।